
ড্রোন ব্যবহারে ভারত ও পাকিস্তানের সাম্প্রতিক সংঘর্ষ দক্ষিণ এশিয়ায় এক নতুন ধরনের অস্ত্র প্রতিযোগিতার ইঙ্গিত দিচ্ছে। ৮ মে জম্মুর আকাশে পাকিস্তানি ড্রোন লক্ষ্য করে ভারতের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গুলি চালালে উত্তেজনার সূচনা হয়।
চারদিনের সীমান্ত সংঘাতে দুই দেশের মধ্যে ব্যাপকভাবে মানববিহীন বিমান বা UAV ব্যবহৃত হয়—যা এতোদিন প্রচলিত যুদ্ধবিমান ও কামানের ওপর নির্ভরশীল ছিল। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যুদ্ধবিরতির ডাক দিলে সংঘর্ষ থামে, কিন্তু ততক্ষণে এক নতুন প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে গেছে। নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা বলছেন, ড্রোন ছোট এবং নিখুঁতভাবে আঘাত হানতে সক্ষম হওয়ায় উভয় দেশই ঝুঁকি কমিয়ে সামরিক ক্ষমতা প্রদর্শনে এই প্রযুক্তিতে আগ্রহী হয়ে উঠেছে।
ভারতে ড্রোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতি সরকারি আগ্রহ বেড়েছে এবং আমলাতান্ত্রিক প্রক্রিয়া শিথিল করা হচ্ছে। অন্যদিকে পাকিস্তান, সীমিত বাজেটের মধ্যেও, চীন ও তুরস্কের সঙ্গে যৌথভাবে ড্রোন উন্নয়ন বাড়াতে চাচ্ছে। দুই পারমাণবিক শক্তিধর দেশের এই প্রযুক্তি প্রতিযোগিতা দক্ষিণ এশিয়ার নিরাপত্তা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকরা।