
ইসরায়েলি সামরিক হামলায় রবিবার গাজা উপত্যকার বিভিন্ন স্থানে অন্তত ৩০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে, যাদের মধ্যে একজন জ্যেষ্ঠ উদ্ধারকর্মী এবং একজন সাংবাদিক রয়েছেন বলে স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
চিকিৎসাকর্মীরা জানিয়েছেন, ইসরায়েলি অভিযানে সর্বশেষ এই প্রাণহানির ঘটনা দক্ষিণের খান ইউনুস, উত্তরের জাবালিয়া এবং মধ্য গাজার নুসাইরাতে আলাদা আলাদা হামলায় ঘটে।
জাবালিয়ায় তারা জানান, স্থানীয় সাংবাদিক হাসান মজদি আবু ওয়াদা এবং তার পরিবারের কয়েকজন সদস্য রবিবার সকালে তাদের বাড়িতে চালানো একটি বিমান হামলায় নিহত হন।
হামাস পরিচালিত গাজা সরকারের গণমাধ্যম দফতর জানিয়েছে, আবু ওয়ার্দার মৃত্যুর ফলে ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজায় নিহত ফিলিস্তিনি সাংবাদিকের সংখ্যা বেড়ে ২২০ জনে দাঁড়িয়েছে।
আন্তর্জাতিক রেড ক্রস কমিটি (ICRC) এক বিবৃতিতে জানায়, তাদের দুই কর্মী ইব্রাহিম ঈদ এবং আহমাদ আবু হিলাল – শনিবার খান ইউনুসে একটি বাড়িতে চালানো হামলায় নিহত হন।
ICRC এর বিবৃতিতে বলা হয়, “তাদের নিহত হওয়া গাজায় অসহনীয় বেসামরিক প্রাণহানির প্রতিফলন।।CRC পুনরায় দ্রুত যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানায় এবং বেসামরিক নাগরিক চিকিৎসাকর্মী, মানবিক সহায়তা কর্মী ও সিভিল ডিফেন্স সদস্যদের প্রতি শ্রদ্ধা ও সুরক্ষার আহ্বান জানায়।”
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাস যোদ্ধাদের সীমান্ত পার হয়ে চালানো হামলার পর ইসরায়েল গাজায় আকাশ ও স্থল অভিযানের সূচনা করে। ইসরায়েলি হিসাব অনুযায়ী ওই হামলায় ১,২০০ জন নিহত হয় এবং ২৫১ জনকে অপহরণ করে গাজায় নিয়ে যাওয়া হয়।
গাজার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, এই সংঘাতে এখন পর্যন্ত ৫৩,৯০০-র বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন এবং উপকূলীয় এই অঞ্চলটি বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। ত্রাণ সংস্থাগুলো বলছে, চরম অপুষ্টির লক্ষণ ব্যাপকভাবে দেখা যাচ্ছে।