চলমান কোটা বিরোধী আন্দোলনে ছাত্রলীগ এবং তার সহযোদ্ধারা শিক্ষার্থীদের উপর হামলা চালিয়েছে বারবার, হয়েছে ধাওয়া পালটা ধাওয়া। ফলস্বরূপ ছাত্রলীগ এবং পুলিশের আক্রমণে নিহত হয়েছেন ৭জন শিক্ষার্থী। তাদের আত্নার মাগফিরাতের জন্য সারাদেশে পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী আজ বুধবার বিকেল ৪:০০ টার দিকে চট্টগ্রামের লালদীঘির পাড়ে গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। গায়েবানা জানাজায় অংশগ্রহণের জন্য শত শত সাধারণ শিক্ষার্থীরা উপস্থিত হওয়ার পাশাপাশি অনেক অভিভাবকও উপস্থিত থাকেন। এ সময় উপস্থিত ছিলে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োকেমিস্ট্রি ডিপার্টমেন্টের সম্মানিত শিক্ষক ড. আতিয়ার রহমান স্যার।
এ-সময় উপস্থিত জনতার উদ্দেশ্য বক্তব্য রাখেন কয়েকজন শিক্ষার্থী।
উপস্থিত বক্তাদের মধ্যে একজন বলেন,‘ বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নেতৃত্বে আমাদের উপর হামলা করা হয়েছে, আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই, যারা আমার ভাইদের পাখির মতো গুলি করে হত্যা করেছে তাদেরকে অতি শীগ্রই আইনের আওতায় এনে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।’
অপরাধীদের শাস্তি এবং দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবেন বলেও তারা জানান। তারা বলেন,‘ যতক্ষণ পর্যন্ত না হত্যাকারীদের শাস্তি নিশ্চিত করা হবে এবং আমাদের দাবি মেনে নেওয়া হবে ততদিন পর্যন্ত ছাত্রলীগ আসুক, যুবলীগ আসুক, পুলিশ লীগ আসুক কিংবা টোকাই লীগ আসুক আমরা তাদের প্রতিরোধ করবো, ১৯৭১ সালে রক্তের বিনিময়ে স্বাধীনতা অর্জন করেছি, ১৯৫২ সালে নিজের জীবন দিয়ে বাংলা ভাষার দাবি আদায় করেছি, আমরা এই ২৪ সালে এসে আমাদের দাবি আদায় না করা পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চালিয়ে যাবো, এতে যত বাধা বিপত্তি আসুক না কেনো আমরা তা প্রতিহত করবো।’
এসময় সাধারণ শিক্ষার্থীদেরকে আন্দোলনে সর্বাত্মক অংশগ্রহণের অনুরোধ করেন তারা।
সবশেষে আজকের জানাজায় উপস্থিত হওয়ার জন্য উপস্থিত জনসাধারণকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন তারা।
বিকেল ৪:১৫ টায় গায়েবানা জানাজা নামাজ শুরু হয়, নামাজ পড়ান চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োকেমিস্ট্রির একজন শিক্ষার্থী।
গায়েবানা জানাজা শুরু হওয়ার কিছু মূহুর্ত পূর্বে একটি জল কামান শিক্ষার্থীদের নিকট আসলে শিক্ষার্থীরা তা প্রতিহত করে।
জানাজা শেষ হলে মিছিল করতে করতে তারা কিছুদূর গিয়ে আজকের মতো প্রোগ্রাম সমাপ্ত ঘোষণা করে।

আবু তালহা রাফি, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়