
করোনা মহামারীর রেশ কাটতে না কাটতেই এবার নতুন করে বিশ্বজুড়ে মহামারী আকার ধারণ করেছে মাংকিপক্স। ইতোমধ্যেই জরুরি অবস্থা জারি করেছেন বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা ডব্লুএইচও।
মাংকি পক্স পশু থেকে মানুষে ছড়ালেও নতুন করে উদ্বেগের কারন হয়ে দাঁড়িয়েছে এখন তা মানুষ থেকে মানুষে ছড়াচ্ছে।
মাংকিপক্স বা এমপক্স কি?
মাংকিপক্স নামে এক ধরনের ভাইরাসের সংক্রমনের কারণে এ রোগ হয়ে থাকে। মাংকিপক্সের দুরকম ধরণ চিহ্নিত করা হয়েছে। ক্লেট ১ ক্লেট ২। এর মধ্যে ক্লেট ১ এর ভয়াবহতা অনেক বেশি। এর মৃত্যুহার ১০০ জনের মধ্যে ৪ জন।জ্বর, মাথাব্যথা, পেশীতে ব্যথা, শরীরে ফুসকুড়ি এবং ক্লান্ত বোধের মাধ্যমে এ রোগের লক্ষণগুলি প্রকাশ পায়। ১৯৫৮ সালে প্রথম এই রোগটির সন্ধান পাওয়া যায় বানরের দেহে। সেখান থেকেই এই রোগটির নামকরণ।
আফ্রিকার মধ্যে এ রোগের প্রাদুর্ভাব বেশি থাকলেও ত এখন ইউরোপ সহ এশিয়ার দেশ গুলোতে ছড়িয়ে পড়েছে এ রোগ। সম্প্রতি পাকিস্তানেও এ রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি ধরা পড়েছে।
যেভাবে ছড়ায়-
আক্রান্ত ব্যক্তির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ মেলামেশা এ রোগ সংক্রমনের অন্যতম কারণ। তা ছাড়া আক্রান্ত ব্যক্তির ব্যবহৃত বিছানা, পোশাক, তোয়ালে ব্যবহারের মাধ্যমে অথবা জীবাণুযুক্ত কোনো বস্তুর সংস্পর্শে এলে মাংকিপক্স ছড়াতে পারে। মাংকিপক্স আক্রান্তের সর্দি-কাশি থেকেও এই রোগ ছড়াতে পারে। আক্রান্ত প্রাণীকে স্পর্শ করা অথবা আক্রান্ত বন্য প্রাণীর মাংস ভালোভাবে রান্না না করে খেলে এই রোগ হতে পারে।
যেহেতু মাংকিপক্স সংক্রামক রোগ ইতোমধ্যে দেশের বিমানবন্দরগুলোতেও সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এর আগে ২০২২ সালে এ রোগের কারণে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছিল। সেসময় আক্রান্ত ব্যক্তিরা এ রোগের মৃদু ধরণ ক্লেট ২ দ্বারা আক্রান্ত হয়েছিল। ২০২৪ এ নতুন আক্রান্তদের মধ্যে ক্লেট ২ এর ধরন দেখা যাচ্ছে যা অতি উদ্বেগজনক। বিশেষজ্ঞরা ধারণা করছেন এটি এখনই নিয়ন্ত্রণে না আনতে পারলে এ রোগ থেকে আরও নতুন রোগ সৃষ্টির কারণ হতে পারে।