
আবু তালহা, চবি: দীর্ঘ সাত বছর পর আজ শুক্রবার (৪ই অক্টোবর) চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) এর আইটি সেল থেকে হলের আসন বরাদ্দ প্রাপ্তদের তালিকা প্রকাশ করেন চবির প্রশাসন। শিক্ষার্থীদের অনলাইন আবেদনের উপর নির্ভর করে মেধার ভিত্তিতে আসন বরাদ্দ দিয়েছে তারা। তবে হলের আসন বরাদ্দ নিয়ে নানারকম আলোচনা সমালোচনা চলছে। হলের আসন বরাদ্দের ক্ষেত্রে বিভাগ ভিত্তিক বৈষম্যের অভিযোগ তুলেছেন শিক্ষার্থীরা।
অনলাইনে প্রকাশিত আসন বরাদ্দের তালিকা বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, কিছু কিছু বিভাগের শিক্ষার্থীরা অনেক বেশি সংখ্যক আসন পেয়েছে অন্যদিকে কিছু বিভাগের শিক্ষার্থীরা খুব অল্প সংখ্যক আসন বরাদ্দ পেয়েছে।
মূলত যেসব বিভাগে বেশি সিজিপিএ তোলা যায় সেসব বিভাগের শিক্ষার্থীরা বেশি আসন বরাদ্দ পেয়েছে। আসন বরাদ্দের ক্ষেত্রে বিভাগ ভিত্তিক অনুপাতকে বিবেচনা না করার ফলে যেসব বিভাগের সিজিপিএ কম উঠে সেসব বিভাগের শিক্ষার্থীরা আসন বরাদ্দ থেকে বঞ্চিত হয়েছে।
বিভাগ ভিত্তিক অনুপাতকে বিবেচনা না করে শুধু মেধার ভিত্তিতে হলের আসন বরাদ্দ দেওয়া চরম মাত্রার বৈষম্য মনে করছেন শিক্ষার্থীরা।
সমাজ বিজ্ঞান অনুষদের প্রায় ৭৩ শতাংশ আসন পেয়েছে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা, অথচ উক্ত অনুষদের অনেক বিভাগের মোট আসন বরাদ্দ পেয়েছে হাতে গোনা কয়েকজন শিক্ষার্থী।
এক্ষেত্রে সমাজবিজ্ঞান অনুষদের আসন বরাদ্দ নিয়ে চলছে তুমুল সমালোচনা, কিছু ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থী স্বজনপ্রীতির অভিযোগ এনেছেন প্রশাসনের প্রতি।
অন্যদিকে চবির ১০ হলে ২৩৭৭ জন সাধারণ শিক্ষার্থীর পাশাপাশি কোটায় আসন বরাদ্দ পেয়েছে ৮৯২ জন যা মোট আসন বরাদ্দের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ এর মধ্যে শুধু মুক্তিযোদ্ধা কোটায় আসন বরাদ্দ পেয়েছে ৬৯৭ জন। যে কোটা বৈষম্য দূরীকরণে হাজার হাজার শিক্ষার্থী নিজের জীবনকে বিলিয়ে দিয়েছেন সে কোটায় এতো বিপুল পরিমাণ আসন বরাদ্দ দেওয়ায় ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। তাদের দাবি প্রতিবন্ধী কোটা বাদে সকল কোটা বাতিল করতে হবে।
শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন ধরণের অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) এর উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দিন জানান, পূর্বের বিদ্যমান নীতিমালার উপর ভিত্তি করে আসন বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে, নতুন নীতিমালা প্রণয়নের পর্যাপ্ত সময় আমাদের হাতে নেই, আমরা নীতিমালা প্রণয়নে কাজ করছি। পরবর্তীতে আসন বরাদ্দের ক্ষেত্রে অনুষদ ভিত্তিক পদ্ধতি থেকে বেড়িয়ে আসার চেষ্টা করবো, এছাড়া বিভাগ ভিত্তিক অনুপাতে আসন বরাদ্দ দেওয়া নিয়েও আমরা কাজ করবো।