৫ই আগষ্ট ছাত্রজনতার বিজয়ের পর একে একে পদত্যাগ করানো হয় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, উপ-উপাচার্য সহ প্রশাসনিক বডিদের।
এরপর প্রায় একমাসেরও বেশি ধরে নতুন উপাচার্য ছিল না, নতুন উপাচার্য নিয়োগে বিলম্বের ধরুন বেশ কয়েকদিন আন্দোলন করেছিল চবির শিক্ষার্থীরা।

অবশেষে গত বুধবার (১৮ই সেপ্টেম্বর) নতুন উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্হিয়া আক্তার।

নিয়োগ পাওয়ার পরের দিন বৃহস্পতিবার (১৯ই সেপ্টেম্বর) তিনি তার আসন গ্রহণ করেন।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসিয়াল পেজ থেকে উপাচার্য পদে যোগদানের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।

এসময় তিনি বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্রজনতা আন্দোলনের সফলতার মধ্য দিয়ে ধ্বংসের কার্নিশে উপনীত শিক্ষাঙ্গনে গঠনমূলক সংস্কারের অভূতপূর্ব সুযোগ সুষ্টি হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে আমি ১৯.০৯.২০২৪ তারিখে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য পদে যোগ দিয়েছি।

বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রশাসন বিহীন থাকায় শিক্ষার্থী সহ প্রায় সকল শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী উৎকন্ঠার মধ্যে দিন কাটিয়েছেন, তাদেরকে দুশ্চিন্তামুক্ত থাকার অনুরোধ করে তিনি বলেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে সংশ্লিষ্ট সকল শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং অভিভাবকদের শান্ত ও দুঃশ্চিন্তামুক্ত থাকতে অনুরোধ করছি। কারণ, এ বিশ্ববিদ্যালয় এখন আর অভিভাবকহীন নয়।

দীর্ঘদিন বিশ্ববিদ্যালয় এবং বন্ধ হওয়ায় একাডেমিক কার্যক্রম সম্পূর্ণ বন্ধ ছিল, এহেন অবস্থায় সদ্য নিয়োগ প্রাপ্ত উপাচার্যের মূল লক্ষ্য দ্রুত সময়ের মধ্যে একাডেমিক কার্যক্রম শুরু করা। এ বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা যথাসম্ভব কম সময়ের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক পরিবেশ ও একাডেমিক কার্যক্রম চালু করতে কাজ শুরু করেছি। সবার সহযোগিতা নিয়ে এ প্রতিষ্ঠানকে দুর্নীতি ও সেশনজটমুক্ত করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি ক্ষেত্রে  সুশাসন প্রতিষ্ঠা করব ইনশাআল্লাহ।