
নারায়ণগঞ্জে সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে প্রধান আসামি করে আরও একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। এই মামলায় আওয়ামী লীগের সাবেক আরও সাত মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যকে আসামি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) বিকেলে মো. ইয়াসিন নামে এক ব্যক্তি বাদী হয়ে সোনারগাঁ থানায় মামলাটি দায়ের করেন। ইয়াসিনের ছেলে মো. জনি গত ২০ জুলাই সোনারগাঁয়ের কাঁচপুরে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান।
এই মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রীসহ ১৮৭ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ১০০ থেকে ১২০ জনকে আসামি করা হয়েছে বলে জানান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামান।
আসামিদের তালিকায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, সাবেক সংসদ সদস্য শামীম ওসমান, সাবেক সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম বাবু ও সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম দস্তগীর গাজী, সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল্লাহ আল কায়সার হাসনাত, শামীম ওসমানের ছেলে ইমতিনান ওসমান অয়ন, ভাতিজা আজমেরী ওসমানও রয়েছেন।
এ নিয়ে গত ৫ আগস্ট গণঅভ্যূত্থানের মুখে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর দেশ থেকে পালানো সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার দলের লোকজনের বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জে তিনটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মামলার নথির বরাতে জানা যায়, ১৭ বছর বয়সী মো. জনি নাফ পরিবহন নামে একটি বাসের চালকের সহযোগী হিসেবে কাজ করতেন। তার বাড়ি সোনারগাঁ পৌরসভার বালুয়া দিঘীরপাড় গ্রামে। গত ২০ জুলাই বিকেলে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন চলাকালীন কাঁচপুর এলাকায় গুলিবিদ্ধ হন। একটি গুলি তার বুকে এবং আরেকটি তার পিঠে বিদ্ধ হয়। ঘটনাস্থলেই মারা যান জনি। পরে তাকে তার বাড়ির পাশে স্থানীয় একটি কবরস্থানে দাফন করা হয়।
‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার মন্ত্রী-সংসদ সদস্যের নির্দেশে আওয়ামী লীঘের লোকজন আন্দোলনকারীদের দমন করতে এলোপাথারি গুলি করতে থাকলে জনি গুলিবিদ্ধ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন’ বলে মামলায় উল্লেখ করেন নিহতের পিতা ইয়াসিন।
এর আগে শনিবার সদর মডেল থানায় ৪৮ জন এবং সোমবার সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় ৬২ জনকে আসামি করে পৃথক দু’টি হত্যা মামলা করা হয়। ওই দু’টি মামলাতেও প্রধান আসামি করা হয় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে।