খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) বর্তমান উপাচার্য প্রোফেসর ড: মাহমুদ হোসেন , উপ-উপাচার্য, ট্রেজারার, রেজিস্ট্রারসহ সকল প্রভোস্ট ও প্রকল্প পরিচালক পদত্যাগ করেছেন।আজ মঙ্গলবার ২০ আগস্ট ২০২৪ তারিখ বেলা ১২.৩৫ টার সময় এই ঘোষনা দেন উপাচার্য প্রফেসর ডঃ মাহমুদ হোসেন।

পদত্যাগের ঘোষণা দেয়ার সময় তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘সবকিছু মিলিয়ে আমার পক্ষে আর থাকা সম্ভব না। আমাকে শান্তিতে থাকতে দাও। আমি চাই না তোমরা আর কোন ধরনের কিছু করো। আমার সম্মানহানি হচ্ছে অনেকভাবে। আমি সম্মানহানি আর নিতে পারছিনা৷ তোমরা সবাই ভালো থাকো।

এ প্রসঙ্গে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিএসই (কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং) ডিসিপ্লিনের একজন শিক্ষার্থী বলেন, স্যারের অবদান আসলেই আমাদের খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতি অতুলনীয়। আমার মনে হয় যে, গত তিন চার বছরে স্যার আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে যত উন্নতি করেছেন, সেটি ২০ বছরেও কারো পক্ষে করা সম্ভব। এটি আমরা কখনই আশা করিনি এবং স্যারকে সম্মানহানি করার কথা আমরা কল্পনাও করতে পারি না। স্যার আমাদেরকে ক্ষমা করবেন।

উল্লেখ্য,৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর প্রায় সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্যের পদত্যাগের দাবি উঠলেও খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের পদত্যাগের দাবি তোলেননি কোনো শিক্ষার্থী।রোববার (১৮ আগস্ট) খুবি উপাচার্য পদত্যাগ করতে চাইলে বিকেল ৫টার দিকে উপাচার্যের পদত্যাগ ঠেকাতে প্রশাসনিক ভবনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।তিনি শিক্ষার্থীদের আশ্বস্ত করেন তিনি বিষয়টি ভেবে জানাবেন।