চলমান বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনকে প্রতিহত করতে গণ গ্রেফতার শুরু করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এরই ধারাবাহিকতায় ব্র্যাকের সাবেক শিক্ষক আসিফ মাহতাব স্যার সহ হাজার হাজার সাধারণ শিক্ষার্থীদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
আসিফ মাহতাব স্যার সহ সকল গ্রেপ্তারকৃত সাধারণ শিক্ষার্থীদের মুক্তি, শিক্ষার্থীদের হয়রানি বন্ধ এবং বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের নয় দফা দাবি নিয়ে আজকে সাধারণ শিক্ষার্থীরা একত্রিত হন চট্টগ্রাম জেলা আদালতের সামনে।

আজ বুধবার সকাল ১১:০০ টার দিকে তারা জেলা আদালতের সামনে অবস্থান নেন। এসময় অল্প সংখ্যক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিল। তাদের কর্মসূচি শুরু করার পূর্বেই সকাল ১০:৫০ এর দিকে ৪ জন সাধারণ শিক্ষার্থীদের গ্রেফতার করেন পুলিশ।
এ বিষয়ে আন্দোলনকারীদের একজন সংবাদ কর্মীদের জানান,‘আমাদেরকে গ্রেফতার করা হয়, আমাদের শিক্ষকদের গ্রেফতার করা হয়, কেনো আমাদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে তারা বারবার বাধা দিচ্ছে।’
৪জন গ্রেফতার হওয়ার পরেও শিক্ষার্থীরা তাদের কর্মসূচি শুরু করে, একে একে শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে যোগ দিলে আন্দোলনের ব্যাপ্তি বাড়তে থাকে।
আন্দোলনকারী তাদের অবস্থান থেকে মার্চ করতে থাকে যখন সেনাবাহিনীর সামনে চলে আসে তখন তারা ‘এই মূহুর্তে দরকার, সেনাবাহিনী সরকার’ বলে স্লোগান দেয়।
এরপর তারা আদালত ভবনের দিকে যাওয়ার সময় পুলিশ বাধা দেয়, এসময় শিক্ষার্থীরা পুলিশকে নানা ভাবে বুঝাতে থাকে, এক পর্যায়ে ৩০ মিনিটের জন্য শিক্ষার্থীদের আদালতের বাইরে অবস্থান করার অনুমতি দেয়। কিন্তু শিক্ষার্থীরা সেটা অগ্রাহ্য করে।
এসময় আইনজীবীরা বাইরে বের হয়ে আসলে শিক্ষার্থীরা পুলিশের বাধা অতিক্রম করে আইনজীবীদের সাথে আদালতের ভিতরে যাওয়া শুরু করে। দুপুর ১২:০০ এর দিকে আইনজীবীরা এবং শিক্ষার্থীরা আদালতের দোয়েল চত্বরে অবস্থান নেয়।
‘We want Justice’ সহ বিভিন্ন স্লোগানে মুখরিত হয়ে থাকে দোয়েল চত্বর।
এসময় নিহত শিক্ষার্থীদের ন্যায় বিচার,গ্রেফতারকৃত শিক্ষার্থীদের মুক্তি, আসিফ মাহতাব স্যারের মুক্তি এবং তাদের ৯ দফা দাবি বাস্তবায়ন করার বিষয়টি বারবার উল্লেখ করেন।
দুপুর ৩:৩০ মিনিট পর্যন্ত তারা সেখানে অবস্থান করে। এসময় কয়েকবার বৃষ্টি হানা দিলেও তারা তাদের অবস্থান অব্যাহত রাখে।
দুপুর ৩:৩০ টার পর আইনজীবীদের সহযোগিতায় আবার আদালত ভবন থেকে বের হয়ে মিছিল করতে করতে তারা নিউমার্কেটে গিয়ে তাদের কর্মসূচি স্থগিত ঘোষণা করে।