আবু তালহা রাফি, চ.বি : পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি হিসেবে আজ মঙ্গলবার চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা দুপুর ৩:০০ টার দিকে ষোলশহর স্টেশনে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করার কথা ছিল। কিন্তু দুপুর ২:০০ টা থেকেই ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ষোলশহর স্টেশন দখল করে রাখে।
পরিস্থিতি বিবেচনা করে শিক্ষার্থীরা মুরাদপুরে অবস্থান নেওয়া শুরু করে। ধীরে ধীরে শিক্ষার্থীদের সংখ্যা বৃদ্ধি হলে তারা মুরাদপুর মোড়ে অবস্থান করা শুরু করলে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আক্রমণ করে বসে।এসময় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা লাঠি, রামদা, ইট পাটকেল নিয়ে শিক্ষার্থীদের ধাওয়া দিতে থাকে। কিছু সময় পর শিক্ষার্থীরা গচ্ছিত হয়ে পালটা আক্রমণ শুরু করে। ছাত্রলীগরা একটু বেকায়দায় পরে গেলে একজন ছাত্রলীগ প্রকাশ্যে গুলি করা শুরু করে।
এভাবে ধাওয়া পালটা ধাওয়া হওয়ার কিছু সময় পর আরো শিক্ষার্থীরা এক হয়ে ছাত্রলীগদের ধাওয়া দিয়ে সম্পূর্ণ মুরাদপুর দখল করে নেয়।
এরপর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত মুরাদপুর দখল করে রাখে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
এসময় ছাত্রলীগরা চতুর্মুখী আক্রমণ করার চেষ্টা করে বারবার। এসময় ছাত্রলীগের সাথে শিক্ষার্থীদের একের পর এক ধাওয়া পালটা ধাওয়া হয়। ধাওয়া পালটা ধাওয়ার সময় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা প্রকাশ্যে গুলি করে। পুলিশ ছাত্রলীগদের সহযোগিতা করার অভিযোগও পাওয়া যায়।
ধাওয়া পালটা ধাওয়ার পাশাপাশি ১২-১৫জন ছাত্রলীগ একটা ভবনে উঠে শিক্ষার্থীদের উপর ইটের ঢিল ছুড়তে থাকে। কিছু সময় শিক্ষার্থীরা ওই ভবনটা নিয়ন্ত্রণ নিয়ে অবস্থিত ছাত্রলীগদের ৪-৫জন কে লাটিপেটা করা হয়। অবস্থা বেগতিক দেখে বাকি সদস্য ভবনের পাইপ দিয়ে নিচে নামার চেষ্টা করলে ৪-৫ জন ভবন থেকে নিচে পড়ে যায় বাকি নামতে নামতে শিক্ষার্থীদের রোষানলে পরিণত হয়। এরপর মারাত্নক যখম হওয়া ছাত্রলীগদের পুলিশের সহযোগিতায় হাসপাতালে পাঠানো হয়। এদের মধ্যে সবার অবস্থা আশংকাজনক।
ধাওয়া পালটা ধাওয়ায় অন্তত ৩জন মারা গেছেন যাদের মধ্যে ২জন পথচারী ও একজন শিক্ষার্থী ছিলো। আহত হয়েছে প্রায় শতাধিক এর মধ্যে ৬-৭ জনের অবস্থা মারাত্নক।
ছাত্রলীগের অনেকেই আহত হয়েছে এবং একজন নিহত হয়েছে বলে জানা যায়। আহতদের মধ্যে ভবনে অবস্থিত ১২-১৫ জন এবং অন্যদিকের ৪-৫ জন সহ মোট ২০-২২ জনের অবস্থা আশংকাজনক।