ভারতের জম্মু ও কাশ্মীরের ‘পশ্চিম পাকিস্তান শরণার্থী পদক্ষেপ কমিটি’ সদস্যরা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিংয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার তারা এ সাক্ষাৎ করেন। এ সময় তারা “সাত দশকেরও বেশি দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর" তাদের নাগরিকত্বের অধিকার দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ধন্যবাদ জানান। দেশটির কর্মী, জন অভিযোগ ও পেনশন মন্ত্রণালয় এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
পশ্চিম পাকিস্তান শরণার্থী পদক্ষেপ কমিটির সভাপতি লাব্বা রাম গান্ধী এ সময় কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কাছে একটি স্মারকলিপি জমা দেন। স্মারকলিপিতে বলা হয়, বিগত ৭০ বছরে ততকালীন জম্মু ও কাশ্মীর সরকার আমাদের এলিয়েন হিসাবে বিবেচনা করেছে। তারা আমাদের জাতীয়তা, বর্ণ ও অন্যান্য সনদ অস্বীকার করেছে ফলে আমাদের প্রজন্ম নিজেদের পরিচয় হারিয়েছে। এ সব দলিলের অভাবে আমরা স্কুল, কলেজ ও পেশাদার কলেজগুলিতে ভর্তি হতে পারিনি। এমনকি রাজ্য বিধানসভায় ভোট দেওয়ার অধিকারও ছিল না আমাদের।
রাজ্য সরকার এবং কেন্দ্রীয় সরকারকে বার বার আমাদের অবস্থার কথা জানানো হয়েছে, কিন্তু আমাদের দুর্দশার দিকে কেও মনোযোগ দেয়নি। স্মারকলিপিতে আরো বলা হয়, ধারা ৩৭০ এবং ৩৫-এ বাতিল এবং জম্মু ও কাশ্মীরকে রাজ্য থেকে ভারতের কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে রূপান্তরকরণের ফলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে অসহায় পশ্চিম পাকিস্তানি শরণার্থীরা তাদের সমস্ত অধিকার পেয়ে গেছে।
তাদের সঙ্গে চলা আধা ঘন্টার বৈঠকে জিতেন্দ্র সিংহ বলেন, এটি কেবল সাংবিধানিক অধিকার লঙ্ঘনই নয়, এই শরণার্থীদের মানবাধিকার লঙ্ঘনের অওতায়ও এটি পড়ে। তাদের ৭০ বছরের জন্য নাগরিকত্বের অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। তাদের অপরাধ তারা জম্মু ও কাশ্মীরে বসতি স্থাপন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। আর যেসব শরণার্থীরা ভারতের অন্যান্য অঞ্চলে বসতি স্থাপন করেন তারা ইন্দার কুমার গুজরাল এবং ডাঃ মনমোহন সিং এর মত প্রধানমন্ত্রীও হয়েছেন।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী মোদির সাহসী সিদ্ধান্তের ফলে, এখন ভারতের অন্যান্য নাগরিকের মতো তাদেরও অধিকার থাকবে। তাদের সন্তানরাও চাকরিতে সমান সুযোগ পাবে। এছাড়াও মোদি সরকার তাদের জন্য বিভিন্ন নতুন সুযোগ তৈরি করেছে বলেও জানান তিনি।
সূত্র: এএনআই।
Average Rating
আরো খবর
সারাবিশ্বে জঙ্গি রাষ্ট্র সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে পাকিস্তান, দাবি হিন্দু পরিষদের
করোনায় আক্রান্তে মুসলিম দেশগুলোর শীর্ষে তুরস্ক
যুক্তরাষ্ট্রের ৪৬তম প্রেসিডেন্ট হলেন জো বাইডেন