
কিশোরগঞ্জের ভৈরব সরকারি খাদ্য গুদামে (এলএসডি গোডাউন) অনিয়ম-দুর্নীতির সত্যতা পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে গঠিত তদন্ত কমিটি গুদামে ৮১ টন চাল ও ১ লাখ ৭৬ হাজার ৪২৬টি নতুন খালি বস্তার হদিস পায়নি। সেগুলো গুদামে মজুদ নেই। সরকারি হিসাবে এর মূল্য দেড় কোটি টাকারও বেশি।
সম্প্রতি ভৈরবে খাদ্যগুদামের তদন্ত কমিটির রিপোর্ট কিশোরগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কাছে দাখিল করা হয়। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে জানা গেছে, গুদামে ৮১ টন চাল ও ১ লাখ ৭৬ হাজার নতুন খালি বস্তার মজুদ কম পাওয়া গেছে। যার সরকারি মূল্য ১ কোটি ৪৩ লাখ ৫৬ হাজার টাকা।
তার মধ্য চালের মূল্য ২৯ লাখ ১৬ হাজার টাকা এবং খালি বস্তা ১ কোটি ১৪ লাখ ৪০ হাজার টাকা। ভৈরব খাদ্য গুদামে ৮টি গোডাউন রয়েছে। তার মধ্য ৬টি গুদামের মজুদ মালামাল গণনা করে উল্লিখিত চাল ও বস্তা কম পায় তদন্ত কমিটি।
৫ সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ও ম্যাজিস্ট্রেট খোদাদাদ হোসেন জানান, ৬টি গুদামের মজুদ পরীক্ষা করে উল্লিখিত চাল ও বস্তা কম পাওয়া গেছে। আরও দুটি গুদাম সিলগালা রয়েছে। এ দুটি গুদামের মাল আদালতের অনুমতি পাওয়ার পর গণনা করা হবে।
জেলা প্রশাসক মো. সারোয়ার মুর্শেদ চৌধুরী জানান, তদন্ত প্রতিবেদন তিনি পেয়েছেন। তদন্তে গুদামে ৮১ টন চাল ও ১ লাখ ৭৬ হাজার নতুন খালি বস্তার মজুদ কম পাওয়া গেছে। রিপোর্ট পাওয়ার পরপরই যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে তদন্ত রিপোর্টটি ঢাকার খাদ্য অধিদফতরের মহাপরিচালকের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছেন বলে তিনি জানান।
গত ২১ মার্চ খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) সারোয়ার মাহমুদ আকস্মিকভাবে ভৈরব সরকারি খাদ্য গুদাম পরিদর্শনে আসেন। তিনি ২ ও ৩ নম্বর গুদামে চালের খামালের ভেতরে ফাঁকা দেখতে পেয়ে দুটি গুদাম সিলগালা করে দেন। এ ছাড়া গুদামের সীমানা প্রাচীর ভেঙে একটি চালকলের রাস্তা দেখতে পান। রাস্তাটি দ্রুত বন্ধ করতে কিশোরগঞ্জ জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রককে নির্দেশ দেন। পরদিন দুপুরে রাস্তাটি বন্ধ করতে এসে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক তানভীর হোসেন ভূঁইয়া দেখতে পান- সিলগালা গুদাম খুলে ভেতরে শ্রমিকরা কাজ করছে। এ ঘটনায় ১০ শ্রমিকসহ গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম ও ঠিকাদার ফারদুল্লাহকে আটক করা হয়। রাতেই ডিজির নির্দেশে তাদের বিরুদ্ধে ভৈরব থানায় মামলা করেন জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক।
পরে কিশোরগঞ্জের ভৈরবে খাদ্য গুদামে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে ৩ কর্মকর্তাকে শাস্তিমূলক বদলি করা হয়। তবে কোন এক অজানা কারণে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোহাম্মদ তানভীর হোসেনকে বদলি করা হলেও তিনি এখনো বদলি করা কর্মস্থল ঝালকাঠি তে যোগদান করেন নি। কোন ধরণের লিখিত নির্দেশ ছাড়া এখনো কিশোরগঞ্জের দায়িত্ব পালন করছেন।
Average Rating
আরো খবর
মাদকবিরোধী অভিযানে রাজধানীতে গ্রেপ্তার ৫৮
ফেনীতে বৃদ্ধের কাছ থেকে চাঁদা নেয়া এএসআই বরখাস্ত
তৌহিদ হত্যাকারীদের শাস্তি দাবি