
আশরাফুল আলম, ধামরাই প্রতিনিধিঃ ঢাকার ধামরাইয়ে অমানুষিক নির্যাতনের শিকার শিফা আক্তার নামে নাবালিকা এক নববধূ চিরকুট লিখে রেখে আত্মহত্যা করেছেন আড়াই মাস বয়সী নববধূু।
অভিযোগের তীর স্বামী,ননদ,মাদক সম্রাট ভাসুর ও শাশুড়ীর দিকে। ধামরাই থানা পুলিশ ওই নববধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে। ছুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি শেষে ময়না তদন্তের জন্য ওই নববধূর মরদেহটি রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
এব্যাপারে ধামরাই থানায় হত্যার প্ররোচনা ধারায়(৩০৬ধারা)একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র নিশ্চিত করেছেন।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে এ আত্মহত্যার ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার গাঙ্গুটিয়া ইউনিয়নের জালসা গ্রামে।
ভুক্তভোগী পরিবার ও স্থানীয় লোকজন জানান,বছর দুয়েক পূর্বে প্রতিবেশী মৃত মোহাম্মদ আলীর ছেলে মোহাম্মদ রকি মিয়ার সিভিল ডিফেন্স ও ফায়ার সার্ভিসের সিপাহী(সদস্য)পদে চাকুরি হয়। পরিবারের আর্থিক ন্যৈদশার কারণে বিয়ের শর্তে প্রতিবেশী ওই নাবালিকা নববধূর পিতা মোঃ শহীদুল্লাহর কাছ থেকে চাকুরির জন্য ঘুষের ৭লাখ টাকা অগ্রিম যৌতুক হিসাবে ধার নেয় রকির পরিবার।
এরপর ২০২০সালে ওই নববধূ শিফা আক্তার এসএসসি পরীক্ষা দেয়ার পরই বিয়ে পড়ানোর জন্য রকির পরিবার চাপ দিতে থাকে। বয়স না হওয়ায় ওই নববধূর পরিবার বিয়ে দিতে বেঁকে বসেন। ফলে রকির পরিবার ছেলেকে অন্যত্র বিয়ে দেয়ার পাঁয়তারা করলে অবশেষে বাধ্য হয়ে আড়াই মাস পূর্বে ওই নববধূর পরিবার বিনা কাবিন রেজিষ্ট্রিতে তাদের বিয়ে দেন গ্রাম্য মসজিদের ইমামকে ডেকে এনে। বিয়ের কিছুদিন তাদের দম্পত্য জীবন সুখে শান্তিতে কাটলে এ সুখ বেশীদিন স্থায়ীত্ব হয়নি।
ওই গৃহবধূর বাবার কাছ থেকে যৌতুক বাবদ আরও ১০লাখ টাকা আনার জন্য স্বামী,ননদ,ভাসুর ও শাশুড়ীসহ পরিবারের সকল সদ্যরা ওই নাবালিকা গৃহবধূর ওপর অমানুষিক নির্যাতন চালাতে থাকে। এতে ওই নাবালিকা নববধূ অতিষ্ঠ হয়ে উঠেন। নির্যাতন সইতে না পেরে সে মাঝে মধ্যেই পিত্রালয় চলে আসে এবং তার ওপর চালানো অসানুষিক নির্যাতনের ঘটনা বর্ণনা করেন। এরপরও পরিবারের সদস্যরা বিষয়টি কর্ণপাত না করে উল্টো ওই নাবালিকা নববধূকে জানায়,নগদ ৭লাখ টাকা যৌতুক দিয়েছি। কাজেই নীরবে নিভৃত্বে সব নির্যাতন করে স্বামীর সংসার করতে হবে।
আবার ইচ্ছার বিরুদ্ধে ওই নাবালিকা নববধূকে ২০ফেব্রুয়ারি পিতা মাতা শ্বশুরালয়ে পাঠান। পূর্বের ন্যায় যৌতুকের ওই ১০লাখ টাকা আদায়ের জন্য ফের একই কায়দায় শুরু হয় ওই নববধূর ওপর অমানুষিক নির্যাতন। ফলে নির্যাতন সইতে না পেরে তিনি সন্ধ্যা ৬টার দিকে মনের ক্ষোভে অভিমানে পিত্রালয় চলে আসেন ওই নববধূ।
এরপর আত্মহত্যার আগে ঘরের দরজা জানালা বন্ধ করে তিনি শ্বশুরালয়ের সকলের নাম উল্লেখ্য করে একটি চিরকুট লিখেন। তাতে বলা হয়েছে আমার মৃত্যুর জন্য আমার স্বামী রকি,ননদ আন্না আক্তার,ভাসুর রতন মিয়া ও শাশুড়ী রশিদা আক্তার দাই-ই। আমি ওদের বিচার বাবা। যে করেই হোক তুমি ওদের ফাঁসিতে ঝুঁলাবে! তানাহ
Average Rating
আরো খবর
২৪ ঘন্টায় করোনায় মৃত্যু ৫২ জনের, নতুন আক্রান্ত ৭০৭৫
শীতলক্ষ্যায় লঞ্চডুবি: আরও ২১ জনের মরদেহ উদ্ধার
৫ এপ্রিল থেকে সারাদেশে লকডাউন ঘোষণা