
মেহেদী হাসান : জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ছাত্রলীগের দফায় দফায় সংঘর্ষ। তবে রাতভর এই অস্থিরতার পর বর্তমানে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
এর আগে গতকাল (সোমবার) সন্ধ্যায় জাহাঙ্গীরনগর বটতলায় কোটা আন্দোলনকারী ও ছাত্রলীগের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। রাত ৯ টার দিকে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে উপাচার্য অধ্যাপক মো. নূরুল আলমের বাসভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। প্রায় এক ঘন্টার মতো শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করেন। এক ঘন্টা পর উপাচার্য তার বাসা থেকে বেরিয়ে এসে হামলার ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করে বিচারের আশ্বাস দেন৷
কিন্তু সেটাতেও আশ্বস্ত না হতে পারে সাধারণ শিক্ষার্থীরা উপচার্যের বাসভবনের সামনেই অবস্থান করতে থাকেন। গতকাল মধ্যরাতে এই দুই পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় হয়েছে সংঘর্ষ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে৷
এই তুমুল সংঘর্ষের মধ্যে বাকি শিক্ষার্থীরা আর বসে থাকতে পারেন নি , বিশ্ববিদ্যালয়ে হলে থাকা প্রতিটি শিক্ষার্থী মিছিল নিয়ে এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়। শিক্ষার্থীদের ভাষ্যমতে, আমাদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে অতর্কিতভাবে হামলা করা হয়। হামলাকারীরা হেলমেট পড়ে ছিল ও হাতে ধারালো অস্ত্র ছিল। তারা পেট্রলবোমা ছুড়ে। আমরা উপাচার্যের বাসভবনের ভেতরে আশ্রয় নিলে আমাদের লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছোড়া হয়।
বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় আন্দোলনের সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম এক ব্রিফিংয়ে বলেন, শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদ এবং কোটা সংস্কারের এক দফা দাবিতে মঙ্গলবার বিকেল ৩টায় সারা দেশের ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল এবং সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। শিক্ষার্থীদেরদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষদের ও অংশ নেয়ার আহ্বান জানান।
নাহিদ আরো বলেন, বৃহত্তর গণআন্দোলনের দিকে আমাদের যেতে হবে। কারণ, এই আন্দোলন এখন শুধু আর ছাত্রদের মধ্যে সীমাবদ্ধ নাই। এতে যখন সরকারের সর্বোচ্চ জায়গা থেকে পরিকল্পিতভাবে উসকানি দিয়ে দমনের চেষ্টা করা হয়েছে; সাধারণ মানুষকে এই আন্দোলনে নেমে আসতে হবে।