সরকারি চাকরির কোটা ব্যবস্থা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরতদের অবরোধের মুখে ঢাকা অচল হয়ে পড়ায় নির্ধারিত সময়ে ফ্লাইট ধরা নিয়ে শঙ্কায় পড়েছেন বিমান যাত্রীরা।

বুধবার সকাল থেকে ‘বাংলা ব্লকেড’ নামে এ কর্মসূচির মধ্যে অনেকেই ফেইসবুকের বিভিন্ন গ্রুপে পোস্ট দিয়ে ঢাকার রাস্তাঘাট সম্পর্কে তথ্য চাইছেন, কেউ আগেভাগে বিমানবন্দরের আশপাশের এলাকায় গিয়ে উঠেছেন।

ফেইসবুকের ট্রাফিক অ্যালার্ট গ্রুপে পাপ্পু আইচ নামে একজন লিখেছেন, তাকে রাত সাড়ে ৮টায় ফ্লাইট ধরতে হবে। ধানমন্ডি থেকে কোন পথ দিয়ে তিনি এয়ারপোর্টে যেতে পারেন সে বিষয়ে পরামর্শ চাইছেন তিনি।

পোস্টের কমেন্টে অনেকেই তাকে বলেছেন, ধানমন্ডি থেকে ফার্মগেইটে গিয়ে মেট্রোরেল ধরে উত্তরা দিয়াবাড়ি হয়ে রিক্সায় করে এয়ারপোর্টে যেতে। কেউ তাকে বলেছেন মিরপুর কালশি হয়ে ফ্লাইওভার দিয়ে এয়ারপোর্টের পথ ধরতে। আবার কেউ বাতলে দিয়েছেন গাবতলী হয়ে দিয়াবাড়ি-উত্তরা দিয়ে এয়ারপোর্টের পথ।

আনিসুর রহমান রায়হান নামে একজন লিখেছেন, বুধবার সন্ধ্যায় তার ফ্লাইট। সে কারণে আগেভাগেই উত্তরায় এলাকার আত্মীয় বাড়িতে গিয়ে উঠেছেন।

ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার ইফতেখায়রুল ইসলাম ফেইসবুকে লিখেছেন, “…গ্রাম থেকে আসা এক লোকের ফ্লাইট বিকালে। গুলিস্তান থেকে হাঁটা শুরু এখন মাত্র রাজারবাগ। হেঁটে কীভাবে যাবেন সেই উপায় বাতলে দিলাম।”

শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন কামরুল ইসলাম বলেন, অবরোধের বিষয়টি সামনে রেখে তারা ঢাকা মহানগর উত্তর ট্রাফিক বিভাগ ও সংশ্লিষ্ট এয়ারলাইন্সগুলোর সঙ্গে সমন্বয় করছেন।

তিনি বলেন, “আমরা চেষ্টা করছি। আশা করছি সমস্যা হবে না।”

ঢাকা মহানগর পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের প্রধান (অতিরিক্ত কমিশনার) মনিবুর রহমান বলেন, এয়ারপোর্টে যেতে পারছেন না এরকম অভিযোগ নিয়ে কোনো যাত্রী এখন পর্যন্ত তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেননি। যেসব জায়গায় অবরোধ রয়েছে, তারা চেষ্টা করছেন তার আশপাশে বিকল্প সড়কগুলো চালু রাখতে।

একদল আন্দোলনকারী মহাখালীর আমতলী মোড় অবরোধ করায় এয়ারপোর্ট রোডে যাতায়াতের সমস্যা হচ্ছিল। বেলা ৩টার আগে তারা রাস্তা ছেড়ে দিলে যান চলাচল শুরু হয় বলে জানান ডিএমপির গুলশান ট্রাফিক বিভাগের এডিসি এসএম হাফিজুর রহমান।

তিনি বলেন, “মহাখালী থেকে এয়ারপোর্টের দিকে (আউটগোয়িং) যানবাহনের তেমন চাপ নেই। বরং এয়ারপোর্ট থেকে মহাখালী হয়ে (ইন কামিং) যানবাহনের চাপ অনেক বেশি।”