
চ্যাম্পিয়ন হতে চাও? তাহলে রিশাদ হোসেন কে ডাক দেও! বিষয়টি কেন বলা? কারণ, ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে এই পর্যন্ত রিশাদ হোসেন যে কয়টি দলে খেলেছেন কিংবা নাম লেখিয়েছেন সব দল ই হয়েছে চ্যাম্পিয়ন। তাইতো আসন্ন লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগ কিংবা ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগের দল গুলো চাইলেই তাকে দলে ভেরাতে পারে! কে জানে, তারাও যদি চ্যাম্পিয়ন হয়ে যায়।
গতকাল রাতে লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে পাকিস্তান সুপার লিগে কোয়েটার বিপক্ষে ২০২ রানের লক্ষ্যে খুব সফলভাবেই তাড়া করে জিতে যায় লাহোর কালান্দার্স। ফাইনাল ম্যাচে একাদশে ছিলেন রিশাদ হোসেন। রিশাদের পাশাপাশি ডাগআউটে ছিলেন আরো দুই বাংলাদেশী – সাকিব আল হাসান ও মেহেদী হাসান মিরাজ।
বাংলাদেশের ক্রিকেটে লেগ স্পিনার যেনো এক ধ্রুবতারা। মাঝে মাঝে আসে আবার নাই হয়ে যায়। তবে, রিশাদ হোসেন যেনো অনেকটাই ব্যাতিক্রম। নিজের জায়গা জাতীয় দলে যেমন পাকাপোক্ত করেছেন তেমনি ফ্র্যান্সাইজি দলগুলোর নজর কাড়ছেন খুব ভালোমতোই।
গত টি ২০ বিশ্বকাপে রিশাদ ছিলেন দারুণ। সেই সুবাদে তিনি কানাডার গ্লোবাল টি–টোয়েন্টি লিগে খেলার সুযোগ পান। তাঁকে দলে ভিড়িয়েছিল টরন্টো ন্যাশনালস। তবে ভিসা জটিলতার কারণে খেলা হয় সেই আসর। বিগ ব্যাশে সাকিবের পর তার ডাক আসে। তবে বিসিবি তাকে অনাপত্তিপত্র দেয়। তখন বাংলাদেশ দলের ছিলো উইন্ডিজ সফর৷ তিনি না খেললেও চ্যাম্পিয়ন হয়েছে হোবার্ট হারিকেন্স, যা ছিল দলটির ইতিহাসে প্রথম শিরোপা।
গত বছর গায়ানাতে অনুষ্ঠিত গ্লোবাল সুপার লিগে রংপুরের হয়ে খেলেন রিশাদ৷ প্রথম দুই ম্যাচ হেরে অনেক টাই বাদ পরার শংকায় ছিলো দলটি। তবে, দারুণ প্রত্যাবর্তনে সেই আসরের চ্যাম্পিয়ন দল রংপুর রাইর্ডাস।
গত বিপিএল চ্যাম্পিয়ন দল ফরচুন বরিশালের বিশেষ অংশ ছিলেন এই লেগি। আসরে দারুণ ভূমিকা পালন করে তিনি ও ফাইনালে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন রিশাদ। সবমিলিয়ে রিশাদ আসর খেলুক আর না খেলুক, রিশাদ যে দলের ই অংশ হয়েছে – সে দল ই হয়েছে চ্যাম্পিয়নস।