
চুয়াডাঙ্গা জেলায় নতুন আতঙ্ক হয়ে উঠেছে অনলাইন জুয়াখেলা। রাতারাতি বড়লোক হওয়ার স্বপ্নে বিভোর হয়ে অসংখ্য তরুণ জড়িয়ে পড়ছেন এই ডিজিটাল প্রতারণায়। চমকপ্রদ বিজ্ঞাপন ও সহজ উপায়ে আয় করার লোভ দেখিয়ে বেটিং সাইটগুলো মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে, যার ফলে আর্থিক, সামাজিক ও মানসিক সংকটে পড়ছেন ভুক্তভোগীরা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, “ফ্রিল্যান্সিং”, “অনলাইন আয়” কিংবা “ক্যাসিনো বেটিং”-এর মতো নাম দিয়ে বিভিন্ন মোবাইল অ্যাপ ও ওয়েবসাইট ব্যবহার করে তরুণদের ফাঁদে ফেলা হচ্ছে। এসব প্ল্যাটফর্মে প্রথমে কিছুটা লাভ দেখিয়ে পরে বড় অঙ্কের বিনিয়োগ করানো হয়, এরপর হঠাৎ করে সাইট বা অ্যাপ উধাও হয়ে যায়।
চুয়াডাঙ্গা শহরের কলেজপড়ুয়া এক শিক্ষার্থী জানান, “শুরুতে আমি ৫০০ টাকার বেট করে ৭০০ পেয়েছিলাম। এরপর ১০ হাজার টাকাও ঢুকাই। কিন্তু হঠাৎ একদিন লগইন করতেই পারলাম না।” এমন অভিজ্ঞতা জেলার বহু তরুণের।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ধরনের জুয়াসাইটে জড়িয়ে পড়া তরুণরা পরবর্তীতে ঋণের চাপে পড়ে বিভিন্ন অসৎ কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে যাচ্ছেন। কেউ কেউ আত্মহত্যার পথও বেছে নিচ্ছেন।
বেটিং সাইটগুলোর লেনদেন সাধারণত মোবাইল ব্যাংকিং এবং ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে হয়ে থাকে, যা ট্র্যাক করা কঠিন নয়; তবে অধিকাংশ সময় এসব বিষয়ে কেউ লিখিত অভিযোগ করে না বলেই প্রশাসনের পদক্ষেপ সীমিত থাকে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও বিটিআরসি যৌথভাবে কাজ করলে এবং জনসচেতনতা বাড়ালে এই অনলাইন জুয়ার বিস্তার রোধ করা সম্ভব। অভিভাবক ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে এ বিষয়ে নজরদারি বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন তারা।