
কুমিল্লা জেলার বুড়িচং উপজেলায় লোডশেডিংয়ে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে স্বাভাবিক জনজীবন। সকাল, দুপুর, বিকেল এমনকি মধ্যরাতেও হচ্ছে লোডশেডিং। ফলে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছে মানুষ।গড়ে ১০ ঘণ্টা করে লোডশেডিং হচ্ছে। ইউনিয়ন গুলোর অবস্থা সবচেয়ে বেশি খারাপ।
উপজেলা এলাকায় প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ১০ বার লোডশেডিং দেওয়া হয়। উপজেলার ইউনিয়ন পর্যায়ে লোডশেডিং আরও বেশি এখানে সারাদিনে চব্বিশ ঘন্টায় প্রায় ১২ ঘন্টায় বিদ্যুৎ থাকে না ।
বুড়িচং সদর ইউনিয়নের এলাকায় লোডশেডিং চলাকালীন দেখা যায়, তীব্র গরমে অতিষ্ঠ হয়ে নারী-পুরুষ এবং শিশুরা বাসা থেকে বের হয়ে গলিতে অবস্থান নিয়েছে। তীব্র গরমে সর্বাধিক কষ্টের শিকার হচ্ছেন শ্রমজীবী মানুষ। গরমের তীব্রতা থেকে বাঁচতে তারা আশ্রয় নিচ্ছেন গাছের তলায় কিংবা ছায়াযুক্ত স্থানে।
বুড়িচং সদর ইউনিয়নের একজন বাসিন্দা বলেন
সারাদিন এত গরমে মধ্যে বিদ্যুৎ থাকেনা।রাতে ছেলে মেয়েরা গরমে জন্য পড়াশোনা করতে পারছে না। ফলে স্কুলের পড়া মুখস্ত করে যেতে পারে না। আবার স্কুলে গিয়ে বিদ্যুৎ না থাকার ফলে ছাত্র-ছাত্রীরা বিদ্যালয়ে পড়ায় মনোযোগ দিতে পারেনা।
অটো রিক্সা চালকরা বলেন, বিদ্যুৎ ঠিক মতো না থাকায় আমার রিক্সায় যে চার্জ হয় দুপুর না হতেই শেষ হয়ে যায় সারাদিনে তিনশ চারশ টাকা কামাই করি। এতে করে মালিকের জমার টাকায় ই হয় না। কিভাবে সংসার চালাবো তা নিয়ে এখন চিন্তায় আছি।
বুড়িচং উপজেলার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ডেপুটি ম্যানেজার (ডিজিএম) হাফিজুর রহমান বলেন তীব্র গরমের কারনে বিদ্যুৎ এর চাহিদা বেশি হওয়ায় বিদ্যুতের চাহিদা বেশি হয়েছে। বিদ্যুৎ এর বরাদ্দ কম পাওয়ার কারনেই লোডশেডিং হচ্ছে। আশাকরি খুব তাড়াতাড়ি যথেষ্ট বরাদ্দ পাবো তখন বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হবে।