
নতুন কারিকুলাম এর বই থেকে পুরানো পদ্ধতিতে বার্ষিক পরীক্ষা নেওয়া হবে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের। যারা ক্লাস নাইনে পড়ছে ক্লাস টেনে তাদের গ্রুপ বিভাজন হবে। ২০১২ শিক্ষাকারিকুলাম এর সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে হবে তাদের এসএসসি পরীক্ষা। স্কুল গুলোতে এসব নির্দেশনা পাঠিয়েছে nctb। শিক্ষা কারিক্রম বারবার পরিবর্তনে উদ্বিগ্ন অভিভাবক ও শিক্ষাকরা।
শিক্ষাবর্ষের মাঝামাঝি এসে শিক্ষাকারিকুলাম বাতিলের ঘোষণায় অস্বস্তি নেমেছে স্কুলগুলোতে। চলছে শিক্ষা কার্যক্রম চলছে দায়সারা ভাবে। তীব্র আপত্তির পরও নতুন শিক্ষাক্রম পড়ানো হচ্ছিল আড়াই বছর ধরে। এখন তা বাতিল করায় নানা ধরনের জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে যার বড় ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা।
নবম শ্রেণীতে যারা পড়ছে বেশি বিপাকে পড়েছে তারা। এই ক্লাসে বার্ষিক পরীক্ষা হবে এখনকার বই অনুযায়ী, আবার দশম শ্রেণীতে বিজ্ঞান, মানবিক, কলা বিভাগের যেকোনো একটি নিতে হবে। পুরনো কাররিকুলাম এর বই একবছর পড়িয়ে তাদের এসএসসি পরীক্ষা নেওয়া হবে। বারবার শিক্ষা কারিকুলাম পরিবর্তনের ক্ষুব্ধ ও উদ্বিগ্ন অভিভাবকরা।
উন্নত দেশগুলোতে একটি শিক্ষাক্রম সাধারণত ১৬ থেকে ২০ বছর পড়ানো হয়। কিন্তু বাংলাদেশ সরকার পরিবর্তনের সাথে সাথে শিক্ষাক্রমও বদলে যায় যার রীতিমতো উদ্বেগ জনক। শিক্ষাবিদরা বলেছেন সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হয় এমন একটি শিক্ষাক্রম চালু করার জোর দাবি উঠেছে।