
উজান থেকে নেমে আসা জোয়ার ও ভারি বৃষ্টির কারণে সৃষ্ট এই বন্যার পানি যত কমছে, ততই স্পষ্ট হয়ে উঠছে ক্ষয়ক্ষতির চিত্র। স্রোতে ভেঙে গেছে বিভিন্ন গ্রামে রাস্তা ও সড়ক। অনেক সড়ক এখনো পানির নিচে। কিছু বাড়িঘরেও পানিবন্দি অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন অনেক মানুষের।
বিভিন্ন এলাকায় সড়ক ও বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় এখনো যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।তলিয়ে যাওয়া বিভিন্ন রাস্তা ও সড়ক থেকে পানি সরে যাওয়ায় ভেসে উঠছে ক্ষতের চিহ্ন
পানির স্রোতে অনেক জায়গায় সড়কের পিচ ওঠে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে।
এ ছাড়া নিরাপত্তার স্বার্থে এখনো বেশ কয়েকটি গ্রামে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন আছে।বন্যার পানি হ্রাস পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে বানভাসি মানুষের দুর্ভোগ। দেখা দিয়েছে পানিবাহিত নানা রোগ। ডায়রিয়া,চর্মরোগ, জ্বর, সর্দি, কাশির পাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে
বন্যায় অনেকের কাঁচা ঘর ভেঙে গেছে। ফলে বাড়িঘর বসবাস উপযোগী করার কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে তারা। বন্যায় গবাদি পশু, হাস-মুরগি ও মাছের খামার ভেসে যাওয়ায় অনেকের অর্থনৈতিক অবলম্বনও শেষ হয়ে গেছে। পাশাপাশি অনেকের না খেয়ে দিন পাড় করছেন। আশ্রয়কেন্দ্র বা প্রধান সড়কের আশপাশের বাসিন্দারা ত্রাণ পেলেও প্রত্যন্ত অঞ্চলের অনেক মানুষই এখনো প্রয়োজনীয় খাবার ও বিশুদ্ধ পানি পাচ্ছেন না।
কুমিল্লা জেলার মৎস্য কর্মকর্তা বেলাল হোসেন জানিয়েছেন এবারের বন্যায় কুমিল্লা জেলা জুড়ে ৪০৪ কোটি টাকার মৎস্য খাতে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
বুড়িচং উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা সাহিদা আক্তার জানিয়েছেন বলেন, ‘উপজেলায় পানি কমতে শুরু করেছে। কত কিলোমিটার সড়ক ও কয়টি সেতু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তা কয়েকদিনের মধ্যে জানানো হবে। ইতিমধ্যে
শুকনা খাবার ও পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট দেওয়া হয়েছে । কারও পানির সংকট নেই। কারণ, কোনো নলকূপ পানিতে তলিয়ে যায়নি। বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে দ্রুত। বাসাবাড়ি থেকে পানি নেমে যাচ্ছে। ভেঙে যাওয়া সড়ক মেরামত করে যান চলাচলে চেষ্টা করা হবে।