
বাংলাদেশের কোটা সংস্কার আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের উপর করা সহিংসতা, শিক্ষার্থীদের অন্যায় গ্রেফতার, মানবাধিকার লঙ্ঘনের কারণে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক অঙ্গনের প্রত্যকে। জাতিসংঘ ও যুক্তরাষ্ট্রের করা নিয়মিত প্রেস ব্রিফিং এও ছিল বাংলাদেশ ইস্যু নিয়ে আলোচনা। এবার বাংলাদেশের চলমান এ আন্দোলনে মানবাধিকার রক্ষায় জোরালো পদক্ষেপ গ্রহণের কথা ব্যক্ত করে দেশটির পার্লামেন্ট কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভস এবং উচ্চকক্ষ সিনেটের ২২ জন সদস্য পররাষ্ট্র বরাবর চিঠি দিয়েছেন।
চিঠিতে সিনেটরগণ লিখেছেন, আমরা বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন। তারা তাদের চিঠিতে উল্লেখ করেন সরকার যেসব পদক্ষেপ গ্রহণ করছেন তা মানবাধিকারের পরিপন্থী। শিক্ষার্থীদের দেখা মাত্র ধরে নিয়ে যাওয়া, গুলি করা, কারফিউ জারি যা গণতন্ত্রকে ক্ষুন করে। এছাড়াও তারা জানুয়ারীতে সংঘটিত নির্বাচনের কথা তুলে ধরে সেটিকে প্রশ্নবিদ্ধও করেছেন তাদের চিঠিতে। তারা তাদের প্রত্যাশা থেকে চিঠিতে বলেন, গণতান্ত্রিক রীতিনীতিকে সমুন্নত করার ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষে উদ্যোগ নেবেন আপনি। সব রকম সহিংসতার তীব্র নিন্দা জানাতে হবে। মত প্রকাশের স্বাধীনতা, শান্তি পুর্নসমাবেশে সরকারের নিয়ম বহির্ভূত কর্মকাণ্ডের জন্য জবাবদিহিতা করার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
পরিশেষে তারা জোরালো পদক্ষেপের আশা ব্যক্ত করে চিঠিতে লিখেন, “এই অবস্থায়, প্রিয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী, আমরা আপনার কাছে এই আহ্বান জানাতে চাই যে বাংলাদশের গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রা এবং মানবাধিকার পরিস্থিতির উন্নয়নে দেশটিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রচেষ্টা দ্বিগুণ করা হোক। বাংলাদেশের পরিস্থিতি দিন দিন উদ্বেগজনক হয়ে উঠছে।”