
ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের সামরিক শাখার প্রধান মোহাম্মদ দেইফ নিহত হয়েছেন বলে দাবি ইসরায়েলের সেনাবাহিনীর। তবে হামাসের পক্ষ থেকে বিষটি এখনো নিশ্চিত করা হয় নি।
ইসরায়েল সেনাবাহিনীর দাবি, গত ১৩ জুলাই ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার খান ইউনিস এলাকায় ইসরায়েলের বিমান হামলায় মোহাম্মদ দেইফ নিহত হন। গত ৭ ই অক্টোবরের হামলার মুল পরিকল্পনাকারী হিসেবও দেইফকে মনে করেন ইসরায়েল।
২০২১ সালেও দেইফকে হত্যার দাবি জানিয়েছিলেন ইসরায়েল। পরবর্রতীতে তার জীবিত থাকার খবর পাওয়া যায়। সেবার তিনি পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছিলেন। জানা যায়, দেইফকে সাতবার হত্যার চেষ্টা করে অপারগ হয়েছেন ইসরায়েল গোষ্ঠী প। তবে ইসরায়েলি একাধিক হামলায় দেইফ তার একটি চোখ হারানোর পাশাপাশি ২০১৪ সালে ইসরায়েলের বিমান হামলায় তার স্ত্রী ও সন্তান হারান।
দেইফ ইসরায়েল এ প্রবেশের জন্য টানেল নির্মাণ করেছিলেন তিনি বোম – রকেট তৈরিতেও বেশ দক্ষ ছিলেন। ইসরায়েলের মোস্ট ওয়ান্টেড তালিকায় দেইফের নাম রয়েছে। ১৯৮৯ সালে ইসরায়েলি বাহিনীর কাছে গ্রেফতার হয়ে ১৬ মাস কারাবরণও করেছিলেন তিনি।
মোহাম্মদ দেইফ সম্পর্কে যা জানা যায়, তা মূলত ইসরায়েলি এবং ফিলিস্তিনি পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত খবর থেকে। তিনি মিডিয়ার সামনে খুব কম আসতেন। মিডিয়ায় তার মাত্র তিনটি ছবিই দেখা যায়।
হামাসের সামরিক শাখার রাজনৈতিক প্রধান হানিয়া হত্যার পরপর কমান্ডার দেইফকে হত্যার এ খবরে দিশেহারা হয়ে পড়েছে হামাস। কার নেতৃত্বে যাবে হামাস তা নিয়েও চলছে নানা আলোচনা।